ফরেক্সে কিভাবে উপার্জন করা যায়?
ফরেক্স মার্কেটে আয় করা মূলত কারেন্সি কেনাবেচার মাধ্যমে হয়। আপনি যখন একটি কারেন্সি কেনেন এবং আরেকটি বিক্রি করেন, তখন আপনার লক্ষ্য থাকে যে সেই কারেন্সির মূল্য বাড়বে বা কমবে।
ফরেক্সে কিভাবে উপার্জন করা যায়? #### উদাহরণ:
ধরুন আপনি €১০,০০০ ইউরো কিনতে চান ইউএস ডলারের বিনিময়ে।
– বর্তমানে €১ = $১.৩৫।
– তাহলে €১০,০০০ কিনতে আপনার লাগবে: $১.৩৫ x ১০,০০০ = $১৩,৫০০।
মাসখানেক পরে ইউরোর দাম বেড়ে $১.৪২০০ হলো। এখন আপনি আপনার ট্রেডটি বন্ধ করেন:
– আপনার লাভ হবে: $১৪,২০০ – $১৩,৫০০ = $৭০০।
#### কারেন্সির মূল্য কিভাবে বুঝবেন?
ফরেক্সে কারেন্সির মূল্য সবসময় জোড়ায় গণনা করা হয়। কারণ আপনি যখন একটি কারেন্সি কিনেন, তখন অন্য একটি কারেন্সি বিক্রি করেন। উদাহরণ স্বরূপ, যদি আপনি ইউএস ডলারের বিনিময়ে ইউরো কিনেন, তাহলে কারেন্সি ভ্যালুকে আমরা নিম্নরূপ দেখতে পাই:
এখানে ইউরো হলো বেস কারেন্সি এবং ইউএস ডলার হলো কোট কারেন্সি। আপনি যখন কিনবেন, তখন দেখতে পাবেন যে, ১ ইউনিট বেস কারেন্সি কিনতে কত ইউনিট কোট কারেন্সি প্রয়োজন। যখন বিক্রি করবেন, তখন দেখবেন যে, ১ ইউনিট কোট কারেন্সির বিনিময়ে কত বেস কারেন্সি পাবেন।
#### লং এবং শর্ট (Long and Short)
আপনি প্রথমে নির্ধারণ করবেন যে, আপনি কারেন্সি পেয়ার বাই করবেন নাকি সেল করবেন।
– যদি বাই (ক্রয়) করতে চান, তাহলে আপনি আশা করছেন যে কারেন্সির মূল্য বাড়বে। একে লং বলা হয়।
– যদি সেল (বিক্রয়) করতে চান, তাহলে আপনি আশা করছেন যে কারেন্সির মূল্য কমবে। একে শর্ট বলা হয়।
| ক্রয় (Buy) = লং (Long) | বিক্রয় (Sell) = শর্ট (Short) |
#### বিড এবং আস্ক (Bid and Ask)
যেকোনো কারেন্সি পেয়ারে দুটি প্রাইস থাকে:
– বিড প্রাইস (Bid Price): যা দিয়ে ব্রোকার কিনতে চায়।
– আস্ক প্রাইস (Ask Price): যা দিয়ে ব্রোকার বিক্রি করতে চায়। বিড প্রাইস সবসময় আস্ক প্রাইসের চেয়ে কম হবে।
#### স্প্রেড (Spread)
স্প্রেড হলো ব্রোকারের লাভ যা বিড এবং আস্ক প্রাইসের পার্থক্য।
– স্প্রেড = আস্ক প্রাইস – বিড প্রাইস।
লক্ষ্য করবেন, যখন আপনি বাই অর্ডার দেন, তখন ট্রেড আস্ক প্রাইসে শুরু হয়, এবং সেল অর্ডার দিলে ট্রেড বিড প্রাইসে শুরু হয়। তাই আপনার ট্রেড কিছুটা লস দিয়ে শুরু হয়, কারণ ব্রোকার আপনার ট্রেড থেকে স্প্রেড কেটে নিয়েছে। সব কারেন্সির স্প্রেড এক নয়।
Add a Comment
You must be logged in to post a comment