আমেরিকান ডলার এবং গোল্ডের কো-রিলেশন

আমেরিকান ডলার এবং গোল্ডের কো-রিলেশন

আমেরিকান ডলার এবং গোল্ডের কো-রিলেশন

আমেরিকান ডলার এবং গোল্ড দুটোই জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ সময় ধরে গোল্ড একটি নির্ভরযোগ্য মূল্য সংরক্ষণকারী হিসেবে কাজ করেছে, আর আমেরিকান ডলার বিশ্বব্যাপী মূল রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু এই দুটি সম্পদের মধ্যে সম্পর্ক কি এবং কিভাবে ট্রেডাররা এটি ব্যবহার করে তাদের ফরেক্স ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি উন্নত করতে পারে?

গোল্ড এবং আমেরিকান ডলারের বিপরীত সম্পর্ক

অধিকাংশ সময় গোল্ডের দাম এবং আমেরিকান ডলারের শক্তি বিপরীতমুখী হয়। গোল্ড আমেরিকান ডলারে মূল্যায়ন করা হয়, তাই যখন ডলার শক্তিশালী হয়, কম ডলারে গোল্ড কেনা যায়, ফলে গোল্ডের দাম কমে যায়। অন্যদিকে, যখন ডলার দুর্বল হয়, গোল্ডের দাম বাড়ে। উদাহরণস্বরূপ, যখন আমেরিকান ডলার শক্তিশালী হয় উচ্চ সুদের হার বা শক্তিশালী অর্থনৈতিক কারণে, বিনিয়োগকারীরা ডলার-নির্ভর সম্পদের দিকে আকৃষ্ট হয়, ফলে গোল্ডের দাম কমে যায়।

সেইফ ইনভেস্ট হিসেবে গোল্ড

অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ভূ- রাজনৈতিক উত্তেজনা বা আর্থিক সঙ্কটের সময়ে, গোল্ড এবং আমেরিকান ডলার উভয়ই সুরক্ষা হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু যখন সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি ঘটে, তখন উভয় সম্পদের চাহিদা বাড়ে। যেমন ২০০৮ সালের আর্থিক সংকট এবং সাম্প্রতিক COVID-19 মহামারী।

সুদের হার এবং মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব

সুদের হার বাড়লে সাধারণত আমেরিকান ডলারের শক্তি বৃদ্ধি পায়, ফলে গোল্ডের দাম কমে। অপরদিকে, সুদের হার কমলে বা কমতে থাকলে গোল্ডের চাহিদা বাড়ে। এছাড়াও, মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির সময় গোল্ডের দাম বাড়ে, কারণ গোল্ড মূল্য বজায় রাখার ক্ষমতা রাখে, যেখানে ফিয়াট মুদ্রার ক্রয় ক্ষমতা কমে যায়।

ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং গোল্ড

যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বা বাণিজ্য বিরোধের মতো ঘটনা গোল্ডের চাহিদা বাড়িয়ে দেয়। একই সময়ে আমেরিকান ডলারের চাহিদাও বাড়ে, কারণ এটি একটি নির্ভরযোগ্য মুদ্রা।

ফরেক্স ট্রেডিং কৌশল

গোল্ড এবং আমেরিকান ডলারের সম্পর্ক বুঝে ট্রেডাররা ফরেক্স ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, উচ্চ সুদের হারের সময় গোল্ড বিক্রি করে এবং ডলার ক্রয় করে। অপরদিকে, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বা কম সুদের হারের সময় গোল্ড ক্রয় করে এবং ডলার বিক্রি করে।

শেষ কথা, গোল্ড এবং আমেরিকান ডলারের কো-রিলেশন বিনিয়োগকারীদের জন্য অনেক সুযোগ দেয়। তবে কিছু ব্যতিক্রম ঘটতে পারে যখন উভয় সম্পদের চাহিদা বাড়ে। সুদের হার, মুদ্রাস্ফীতি এবং বিশ্ব পরিস্থিতি মনোযোগ দিয়ে অনুসরণ করে ট্রেডাররা তাদের ট্রেডিং কৌশল উন্নত করতে পারে।

এই তথ্যগুলির উপর ভিত্তি করে আপনার ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করুন এবং সঠিক ট্রেডিং দক্ষতা অর্জন করুন।

 

রানা দাশ, সিইও, ফরেক্স ওয়েভ এক্সপার্ট।

Tags: No tags

Add a Comment

You must be logged in to post a comment