### Supply Demand forex (সাপোর্ট, রেজিস্টেন্স, এবং সাপ্লাই ডিমান্ড)
সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স এবং সাপ্লাই ও ডিমান্ড অনেকেই গুলিয়ে ফেলেন, কিন্তু এদের মধ্যে পার্থক্য আছে। চলুন এগুলোকে বিস্তারিতভাবে দেখি।
পার্থক্য
– **সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স:** এটি নির্দিষ্ট পয়েন্ট বা লেভেলকে নির্দেশ করে যেখানে প্রাইস রিজেকশন পেয়েছে। এটি সাধারণত একক প্রাইস লেভেল হিসেবে বোঝা যায়।
– **সাপ্লাই ও ডিমান্ড:** এটি একটি জোন হিসেবে চিহ্নিত হয় যেখানে অনেক সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স লেভেল রয়েছে। এটি একটি বৃহত্তর এলাকা যা প্রাইস অনেকবার রিজেকশন পেয়েছে।
সাপ্লাই ও ডিমান্ড
সাপ্লাই ও ডিমান্ড হলো একটি জোন যেখানে প্রাইস বারবার রিজেক্ট করেছে। সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্সের চেয়ে এটি একটি বৃহত্তর ক্ষেত্রকে নির্দেশ করে। একটি সাপ্লাই বা ডিমান্ড জোন হচ্ছে সেই এলাকা যেখানে প্রাইস অনেকবার রিজেকশন পেয়েছে এবং তা একটি জোন হিসেবে গঠন করেছে।
সাপ্লাই ও ডিমান্ডের মেজর ও মাইনর লেভেল
সাপ্লাই ও ডিমান্ড জোনগুলো প্রাইস মুভমেন্টের বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে। এজন্য মেজর ও মাইনর লেভেল যাচাই করে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। মেজর লেভেলগুলো সাধারণত প্রাইসের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাইস সেখানে বেশি রিজেকশন পায়। অন্যদিকে, মাইনর লেভেলগুলোতে প্রাইসের রিজেকশন তুলনামূলকভাবে কম হয়।
সাপোর্ট, রেজিস্টেন্স, এবং সাপ্লাই ডিমান্ড একসাথে ব্যবহার
সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স এবং সাপ্লাই ও ডিমান্ড একসাথে ব্যবহার করলে ট্রেডাররা মার্কেটের মুভমেন্ট আরও ভালোভাবে বুঝতে পারেন। যখন সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স একটি সাপ্লাই বা ডিমান্ড জোনের সাথে মিলে যায়, তখন সেটি একটি শক্তিশালী লেভেল হিসেবে কাজ করে এবং প্রাইসের রিজেকশনের সম্ভাবনা বেশি থাকে। মনে রাখবেন সাপ্লাই বা ডিমান্ড জোনে সাপোর্ট রেজিস্টেন্স কনফার্ম করে এন্ট্রি আগের পর্বে আলোচনা করা ক্যান্ডলস্টিক এবং ফিবোনাচ্চি লেভেল দিয়ে যখন ট্রেড করবেন তখন আপনার ট্রেডের সাক্সেস অনেক বেশি আসবে।
সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স
সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স নির্দিষ্ট পয়েন্ট বা লেভেলকে নির্দেশ করে যেখানে প্রাইস রিজেকশনের মুখে পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, যখন প্রাইস একটি নির্দিষ্ট লেভেলে গিয়ে বারবার ফিরে আসে, তখন সেই লেভেলকে সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স বলা হয়।
সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স ফরেক্স ট্রেডিংয়ের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ট্রেডাররা বিভিন্নভাবে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স চিহ্নিত করতে পারেন। চলুন দেখি কিভাবে এগুলো কাজ করে।
চার্টে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স চিহ্নিতকরণ
সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স নির্দিষ্ট কোন নম্বর বা সংখ্যা নয়। প্রায়ই দেখা যায় যে সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স লেভেল ভেঙেছে কিন্তু পরে মার্কেট সেই লেভেলগুলোকে টেস্ট করেছে, যা ক্যান্ডেলস্টিক শ্যাডো আকারে দেখা যায়।
ট্রেন্ডলাইন
ট্রেন্ডলাইন একটি সাধারন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ টুল। যদি সঠিকভাবে আঁকা হয় তাহলে এটি প্রাইসের সঠিক ধারা দেখাবে। দুর্ভাগ্যক্রমে, বেশিরভাগ ট্রেডার ট্রেন্ডলাইন ঠিকভাবে আঁকে না এবং নিজেদের ইচ্ছামত মার্কেটে ফিট করার চেষ্টা করে।
ট্রেন্ডলাইন কিভাবে আঁকবেন?
সঠিকভাবে ট্রেন্ডলাইন আঁকার জন্য আপনাকে ২টি মেজর টপ অথবা বটম খুঁজে বের করতে হবে।
তিন ধরনের ট্রেন্ড
– **আপট্রেন্ড:** যখন প্রাইস হাইয়ার লো দেখায়।
– **ডাউনট্রেন্ড:** যখন প্রাইস লোয়ার হাই দেখায়।
– **সাইড/ফ্ল্যাট ট্রেন্ড:** যখন প্রাইস একটি রেঞ্জের মধ্যে চলাচল করে।
ট্রেন্ডলাইন সম্পর্কে কিছু বিষয় মনে রাখুন
– ট্রেন্ডলাইন আঁকতে ২টি টপ বা বটম প্রয়োজন, কিন্তু ট্রেন্ড নিশ্চিত করতে ৩য় টপ বা বটম লাগে।
– ট্রেন্ডলাইন যত খাড়া হবে, তা ততো অনির্ভরশীল হবে।
– ট্রেন্ডলাইন যত বেশি সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স টেস্ট করবে, তা ততো নির্ভরযোগ্য হবে।
– ট্রেন্ডলাইনকে মার্কেটে ফিট করার চেষ্টা করবেন না। যদি ট্রেন্ডলাইন ফিট না হয়, তাহলে তা সঠিক ট্রেন্ডলাইন নয়।
চ্যানেল
ট্রেন্ডলাইনকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিলে আমরা চ্যানেল পাই। চ্যানেল একটি টেকনিক্যাল টুল যা বাই বা সেল নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। চ্যানেলের টপ ও বটম আমাদের সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।
তিন ধরনের চ্যানেল
– **উর্ধ্বগামী/আপ চ্যানেল:** প্রাইস যখন হাইয়ার হাই ও হাইয়ার লো দেখায়।
– **নিম্নগামী/ডাউন চ্যানেল:** প্রাইস যখন লোয়ার হাই ও লোয়ার লো দেখায়।
– **সাইডওয়েস/ফ্ল্যাট চ্যানেল:** প্রাইস যখন একটি রেঞ্জের মধ্যে চলাচল করে।
চ্যানেল ট্রেডিংয়ের নিয়ম
– **আপট্রেন্ডে:** যখন প্রাইস লোয়ার ট্রেন্ডলাইন সুইপ করে।
– **ডাউনট্রেন্ডে:** যখন প্রাইস আপার ট্রেন্ডলাইন সুইপ করে।
– **সাইডওয়েস/ফ্ল্যাট চ্যানেল:** সেল হাই, বাই লো।
ট্রেন্ডলাইন ড্র করার সময় দুটি লাইনই যেন সমান্তরালভাবে আঁকা হয়। চ্যানেলকে মার্কেটে ফিট করানোর চেষ্টা করবেন না।
লাইন দিয়ে ট্রেডিং
বাউন্সিং বা ব্রেক আউট এই দুইভাবে ট্রেড করতে পারি।
বাউন্সিং ট্রেড
উপরের চার্টে বাই সেল এর ২টি সুযোগ দেখা যাচ্ছে। প্রথমে ৯৪.৩৭ এ একটি রেজিস্টেন্স। একবার প্রাইস সেই রেজিস্টেন্স থেকে ফেরত এসেছে। তাই আমরা ধরতে পারি যে আবার সেই রেজিস্টেন্স থেকে ফেরত আসতে পারে। তাই আমরা সেই পয়েন্টে সেল দিতে পারি। পরে প্রাইস ৯৪.৩৭ ব্রেক করে রেজিস্টেন্সের উপরে ক্লোজ হয়েছে।
ট্রেন্ডলাইন দিয়ে এনালাসিস
আপনি সাপোর্টে বাই করলেন। তারপর ট্রেন্ডলাইন বাউন্সে সেল করার চিন্তা করছেন। যখন আবার প্রাইস ট্রেন্ডলাইন টাচ করল, আপনি সেল দিলেন। যদি এই পয়েন্টে আপনি সেল দিয়ে থাকেন তাহলে দেখি তার ফলাফল কি হয়।
ট্রেন্ডলাইন ব্রেকট্রেন্ডলাইন প্রাইস ধরে রাখতে পারেনি আর ব্রেক করেছে। আপনি যদি এখানে সেল ট্রেড শুরু করতেন তাহলে লসের সম্মুখীন হতেন। এখন প্রাইস লাইনগুলো ব্রেক করলে কিভাবে ট্রেড করে তা দেখি।
ব্রেকআউট ট্রেডিং
##### প্রাইস কনফার্মেশন:
– **এগ্রেসিভ:** যখন প্রাইস সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স ভাঙে, তখনই ট্রেড শুরু করা।
– **কনজারভেটিভ:** আরো কনফার্মেশন খুঁজে ট্রেড শুরু করা। যেমন, একটি প্রাইসে সাপোর্ট ভাঙার পর যখন তা রেজিস্টেন্স হয়, তখন রিট্রেসমেন্টে ট্রেড শুরু করা।
পরবর্তী মার্কেট কন্ডিশন নির্ধারণ করে ট্রেড করা সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
Supply Demand forex (সাপোর্ট, রেজিস্টেন্স, এবং সাপ্লাই ডিমান্ড) এই আর্টিকেলে আমি চেস্টা করেছি আমার অভিজ্ঞতা টুকু শেয়ার করার এবং এখানে আমি আমার পেইড কোর্সের কিছু স্লাইড স্কীনশট হিসেবে দিয়েছি।।
Add a Comment
You must be logged in to post a comment